×

Make My Reservation!

Reserve My Room

নাম

ইমেল *

বার্তা *

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Blog Archive

  • মার্চ 2019 (1)

আপত্তিজনক অভিযোগ করুন

Ads

Menu
  • HOME
    • Sub-Menu 1
    • Sub-Menu 2
    • Sub-Menu 3
    • Sub-Menu 4
    • Sub-Menu 5
  • ROOMS
  • RESERVATIONS
    • Sub-Menu 1
    • Sub-Menu 2
      • Sub Sub-Menu 1
      • Sub Sub-Menu 2
      • Sub Sub-Menu 3
      • Sub Sub-Menu 4
      • Sub Sub-Menu 5
    • Sub-Menu 3
      • Sub Sub-Menu 1
      • Sub Sub-Menu 2
      • Sub Sub-Menu 3
      • Sub Sub-Menu 4
      • Sub Sub-Menu 5
  • LOCATIONS
    • Sub-Menu 1
    • Sub-Menu 2
      • Sub Sub-Menu 1
      • Sub Sub-Menu 2
      • Sub Sub-Menu 3
      • Sub Sub-Menu 4
      • Sub Sub-Menu 5
    • Sub-Menu 3
      • Sub Sub-Menu 1
      • Sub Sub-Menu 2
      • Sub Sub-Menu 3
      • Sub Sub-Menu 4
      • Sub Sub-Menu 5
  • CONTACT

Divine Talk Bangla

মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০১৯

প্রথম অধ্যায় বিষাদ-যােগ শ্লোক ১-১১

  মার্চ ১২, ২০১৯ sntroy   No comments

প্রথম অধ্যায়

বিষাদ-যােগ

শ্লোক ১


ধৃতরাষ্ট্র উবাচ ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে সমবেতা যুযুৎসবঃ।

মামকাঃ পাণ্ডবাশ্চৈব কিমকুর্বত সঞ্জয় ॥ ১।।

 

 ধৃতরাষ্ট্রঃ উবাচ—মহারাজ ধৃতরাষ্ট্র বললেন; ধর্মক্ষেত্রেধর্মক্ষেত্রে; কুরুক্ষেত্রেকুরুক্ষেত্র নামক স্থানে সমবেতাঃ—সমবেত হয়ে; যুযুৎসবঃ—যুদ্ধকামী, মামকাঃ—আমার দল (পুত্রেরা); পাণ্ডবাঃ—পাণ্ডুর পুত্রেরা; চ—এবং; এব-- অবশ্যই; কিম—কি; অকুর্বত-করেছিল; সঞ্জয়—হে সঞ্জয়।


গীতার গান

ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে হইয়া একত্র । 

যুদ্ধকামী মমপুত্র পাণ্ডব সর্বত্র ॥ 

কি করিল তারপর কহত সঞ্জয় ।

 ধৃতরাষ্ট্র জিজ্ঞাসয়ে সন্দিগ্ধ হৃদয় ।।

 অনুবাদ 

ধৃতরাষ্ট্র জিজ্ঞাসা করলেন-হে সঞ্জয়! ধর্মক্ষেত্রে যুদ্ধ করার মানসে সমবেত হয়ে আমার পুত্র এবং পাণ্ডুর পুত্রেরা তারপর কি করল?
 

 তাৎপর্য 

ভগবদগীতা হচ্ছে বহুজন-পঠিত ভগবৎ-তত্ত্ববিজ্ঞান, যার মর্ম গীতা-মাহাত্মে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভগবদগীতা পাঠ করতে হয় ভগবৎ-তত্ত্বদর্শী কৃষ্ণভক্তের তত্ত্বাবধানে। ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে গীতার বিশ্লেষণ করা কখনই উচিত নয়। গীতার যথাযথ অর্থ উপলব্ধি করার দৃষ্টান্ত ভগবদ্গীতাই আমাদের সামনে তুলে ধরেছে অর্জুনের মাধ্যমে, যিনি স্বয়ং ভগবানের কাছ থেকে সরাসরিভাবে এই গীতার জ্ঞান লাভ করেছিলেন। অর্জুন ঠিক যেভাবে গীতার মর্ম উপলব্ধি করেছিলেন, ঠিক সেই দৃষ্টিভঙ্গি ও মনােবৃত্তি নিয়ে সকলেরই গীতা পাঠ করা উচিত। তা হলেই গীতার যথাযথ মর্ম উপলব্ধি করা সম্ভব। সৌভাগ্যবশত যদি কেউ 

 ভগবদ্গীতার মনগড়া ব্যাখ্যা ব্যতীত যথাযথ অর্থ উপলব্ধি করতে পারেন, তবে তিনি সমস্ত বৈদিক জ্ঞান এবং পৃথিবীর সব রকমের শাস্ত্রজ্ঞান আয়ত্ত করতে সক্ষম হন। ভগবদগীতা পড়ার সময় আমরা দেখি, অন্য সমস্ত শাস্ত্রে যা কিছু আছে, তা সবই ভগবদ্গীতায় আছে, উপরন্তু ভগবদ্গীতায় এমন অনেক তত্ত্ব আছে যা আর কোথাও নেই। এটিই হচ্ছে গীতার মাহাত্ম্য এবং এই জন্যই গীতাকে সর্বশ্রেষ্ঠ শাস্ত্র বলে অভিহিত করা হয়। গীতা হচ্ছে পরম তত্ত্বদর্শন, কারণ পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজে এই জ্ঞান দান করে

মহাভারতে বর্ণিত ধৃতরাষ্ট্র ও সঞ্জয়ের আলােচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে ভগবদ্গীতার মহৎ তত্ত্বদর্শনের মূল উপাদান। এখানে আমরা জানতে পারি যে, এই মহৎ তত্ত্বদর্শন প্রকাশিত হয়েছিল কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে, যা সুপ্রাচীন বৈদিক সভ্যতার সময় থেকেই পবিত্র তীর্থস্থানরূপে খ্যাত। ভগবান যখন মানুষের উদ্ধারের জন্য এই পৃথিবীতে অবতরণ করেছিলেন, তখন এই পবিত্র তীর্থস্থানে তিনি নিজে পরম তত্ত্ব সমন্বিত এই গীতা দান করেন।

এই শ্লোকে ধর্মক্ষেত্র শব্দটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন তথা পাণ্ডবদের পক্ষে ছিলেন। দুর্যোধন আদি কৌরবদের পিতা ধৃতরাষ্ট্র তাঁর পুত্রদের বিজয় সম্ভাবনা সম্বন্ধে অত্যন্ত সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। দ্বিধাগ্রস্ত-চিত্তে তাই তিনি সঞ্জয়কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আমার পুত্র ও পাণ্ডুর পুত্রেরা তারপর কি করল?” তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে, তার পুত্র ও পাণ্ডুপুত্রেরা কুরুক্ষেত্রের বিস্তীর্ণ ভূমিতে যুদ্ধ করবার জন্য সমবেত হয়েছিলেন। কিন্তু তবুও তার অনুসন্ধানটি ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি চাননি যে, পাণ্ডব ও কৌরবের মধ্যে কোন আপস-মীমাংসা হােক, কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন যুদ্ধে তাঁর পুত্রদের ভাগ্য সুনিশ্চিত হােক। তার কারণ হচ্ছে কুরুক্ষেত্রের পুণ্য তীর্থে এই যুদ্ধের আয়ােজন হয়েছিল। বেদে বলা হয়েছে, কুরুক্ষেত্র হচ্ছে অতি পবিত্র স্থান, যা দেবতারাও পূজা করে থাকেন। তাই, ধৃতরাষ্ট্র এই যুদ্ধের ফলাফলের উপর এই পবিত্র স্থানের প্রভাব সম্বন্ধে শঙ্কাকুল হয়ে পড়েছিলেন। তিনি খুব ভালভাবে জানতেন যে, অর্জুন এবং পাণ্ডুর অন্যান্য পুত্রদের উপর এই পবিত্র স্থানের মঙ্গলময় প্রভাব সঞ্চারিত হবে, কারণ তারা সকলেই ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ। সঞ্জয় ছিলেন ব্যাসদেবের শিষ্য, তাই ব্যাসদেবের আশীর্বাদে তিনি দিব্যচক্ষু প্রাপ্ত হন, যার ফলে তিনি ঘরে বসেও কুরুক্ষেত্রের সমস্ত ঘটনা দেখতে পাচ্ছিলেন। তাই, ধৃতরাষ্ট্র তাঁকে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। | পাণ্ডবেরা এবং ধৃতরাষ্ট্রের পুত্রেরা ছিলেন একই বংশজাত, কিন্তু ধৃতরাষ্ট্রের মনােভাব এখানে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি কেবল তার পুত্রদেরই কৌরব বলে গণ্য করে পাণ্ডুর পুত্রদের বংশগত উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। এভাবে ভ্রাতুস্পুত্র বা পাণ্ডুর পুত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের মাধ্যমেই ধৃতরাষ্ট্রের বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি হৃদয়ঙ্গম করা যায়। ধানক্ষেতে যেমন আগাছাগুলি তুলে ফেলে দেওয়া হয়, তেমনই ভগবদ্গীতার সূচনা থেকেই আমরা দেখতে পাচ্ছি, কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে ধর্মের প্রবর্তক ভগবান স্বয়ং উপস্থিত থেকে ধৃতরাষ্ট্রের পাপিষ্ঠ পুত্রদের সমূলে উৎপাটিত করে ধার্মিক যুধিষ্ঠিরের নেতৃত্বে ধর্মপরায়ণ মহাত্মাদের পুনঃ প্রতিষ্ঠা করবার আয়ােজন করেছেন। বৈদিক এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব ছাড়াও সমগ্র গীতার তত্ত্বদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মক্ষেত্রে ও কুরুক্ষেত্রে—এই শব্দ দুটি ব্যবহারের তাৎপর্য বুঝতে পারা যায়।

শ্লোক ২

সঞ্জয় উবাচ দৃষ্টা তু পাণ্ডবানীকং ন্যূঢ়ং দুর্যোধনস্তদা ।

আচার্যমুপসঙ্গম্য রাজা বচনমব্রবীৎ ॥ ২॥ 

সঞ্জয়ঃ উবাচ—সঞ্জয় বললেন; দৃষ্টা—দর্শন করে; তু—কিন্তু; পাণ্ডবানীক— পাণ্ডবদেব সৈন্য; বঢ়ম—সামরিক বৃহ; দুর্যোধনঃ রাজা দুর্যোধন; তদা—সেই সময়; আচার্য—দ্রোণাচার্য উপসঙ্গম্যকাছে গিয়ে; রাজারাজা; বচন বাক্য; অব্রবীৎবলেছিলেন।

গীতার গান 

সঞ্জয় কহিল রাজা শুন মন দিয়া । পাণ্ডবের সৈন্যসজ্জা সাজান দেখিয়া ॥ রাজা দুর্যোধন শীঘ্র দ্রোণাচার্য পাশে। যাইয়া বৃত্তান্ত সব কহিল সকাশে ॥

অনুবাদ


সঞ্জয় বললেন-হে রাজ! পাণ্ডবদের সৈন্যসজ্জা দর্শন করে রাজা দুর্যোধন দ্রোণাচার্যের কাছে গিয়ে বললেন

তাৎপর্য 

ধৃতরাষ্ট্র ছিলেন জন্মান্ধ। দুর্ভাগ্যবশত, তিনি পারমার্থিক তত্ত্বদর্শন থেকেও বঞ্চিত ছিলেন। তিনি ভালভাবেই জানতেন যে, ধর্মের ব্যাপারে তাঁর পুত্রেরাও ছিল তারই মতাে অন্ধ, এবং তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে, তাঁর পাপিষ্ঠ পুত্রেরা পাণ্ডবদের সঙ্গে কোন রকম আপস-মীমাংসা করতে সক্ষম হবে না, কারণ পাণ্ডবেরা সকলেই জন্ম থেকে অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ছিলেন। তবুও তিনি ধর্মক্ষেত্র কুরুক্ষেত্রের প্রভাব সম্বন্ধে সন্দিগ্ধ ছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি সম্বন্ধে ধৃতরাষ্ট্রের এই প্রশ্ন করার প্রকৃত উদ্দেশ্য সঞ্জয় বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তিনি নৈরাশ্যগ্ৰস্ত রাজাকে সাবধান করে দিয়ে বলেছিলেন, এই পবিত্র ধর্মক্ষেত্রের প্রভাবের ফলে তার সন্তানেরা পাণ্ডবদের সঙ্গে কোন রকম আপস-মীমাংসা করতে সক্ষম হবে না। সঞ্জয় তখনই ধৃতরাষ্ট্রকে বললেন যে, তাঁর পুত্র দুর্যোধন পাণ্ডবদের মহৎ সৈন্যসজ্জা দর্শন করে, তার বিবরণ দিতে তৎক্ষণাৎ সেনাপতি দ্রোণাচার্যের কাছে উপস্থিত হলেন। দুর্যোধনকে যদিও রাজা বলা হয়েছে, তবুও সেই সঙ্কটময় অবস্থায় তাকে তার সেনাপতির কাছে উপস্থিত হতে দেখা যাচ্ছে। এর থেকে আমরা বুঝতে পারি, চতুর রাজনীতিবিদ হবার সমস্ত গুণগুলি দুর্যোধনের মধ্যে বর্তমান ছিল। কিন্তু পাণ্ডবদের মহতী সৈন্যসজ্জা দেখে দুর্যোধনের মনে যে মহাভয়ের সঞ্চার হয়েছিল, তা তিনি তাঁর চতুরতার আবরণে ঢেকে রাখতে পারেননি।

শ্লোক ৩


পশ্যৈতাং পাণ্ডুপুত্ৰাণামাচার্য মহতীং চমূম্ । বঢ়াং দ্রুপদপুত্রেণ তব শিষ্যেণ ধীমতা ॥ ৩॥

পশ্য--দেখুন; এতা—এই; পাণ্ডুপুত্ৰাণাম্পাণ্ডুর পুত্রদের; আচার্য--হে আচার্য; মহতী—মহান; চমূম্সৈন্যবল; ব্যাম্ব্যু হ দ্রুপদপুত্রেণ—দ্রুপদের পুত্র কর্তৃক তব—আপনার; শিষ্যেণ—শিষ্যের দ্বারা; ধীমতা—অত্যন্ত বুদ্ধিমান।

গীতার গান

আচার্য চাহিয়া দেখ মহতী সেনানী। পাণ্ডুপুত্র রচিয়াছে বহ নানাস্থানী ॥ তব শিষ্য বুদ্ধিমান দ্রুপদের পুত্র। সাজাহল এই সব করি একসূত্র ॥

অনুবাদ

 হে আচার্য! পাণ্ডবদের মহান সৈন্যবল দর্শন করুন, যা আপনার অত্যন্ত বুদ্ধিমান শিষ্য দ্রুপদের পুত্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ব্যুহের আকারে রচনা করেছেন।

তাৎপর্য

 চতুর কূটনীতিবিদ দুর্যোধন মহৎ ব্রাহ্মণ সেনাপতি দ্রোণাচার্যকে তার ভুল-ত্রুটিগুলি দেখিয়ে দিয়ে তাকে সতর্ক করে দিতে চেয়েছিলেন। পঞ্চপাণ্ডবের পত্নী দ্রৌপদীর পিতা দ্রুপদরাজের সঙ্গে দ্রোণাচার্যের কিছু রাজনৈতিক মনােমালিন্য ছিল। এই মনােমালিন্যের ফলে দ্রুপদ এক যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন, এবং সেই যজ্ঞের ফলে তিনি বর লাভ করেন যে, তিনি এক পুত্র লাভ করবেন, যে দ্রোণাচার্যকে হত্যা করতে সক্ষম হবে। দ্রোণাচার্য এই বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে অবগত ছিলেন, কিন্তু পদ তার সেই পুত্র ধৃষ্টদ্যুম্নকে যখন অস্ত্রশিক্ষার জন্য তার কাছে প্রেরণ করেন, তখন উদার হৃদয় সত্যনিষ্ঠ ব্রাহ্মণ দ্রোণাচার্য তাকে সব রকমের অস্ত্রশিক্ষা এবং সমস্ত সামরিক কলা-কৌশলের গুপ্ত তথ্য শিখিয়ে দিতে কোনও দ্বিধা করেননি। এখন, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে ধৃষ্টদ্যুম্ন পাণ্ডবদের পক্ষে যােগদান করেন এবং পাণ্ডবদের সৈন্যসজ্জা তিনিই পরিচালনা করেন, যেই শিক্ষা তিনি দ্রোণাচার্যের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন। দ্রোণাচার্যের এই ত্রুটির কথা দুর্যোধন তাকে স্মরণ করিয়ে দিলেন, যাতে তিনি পূর্ণ সতর্কতা ও অনমনীয় দৃঢ়তার সঙ্গে যুদ্ধ করেন। দুর্যোধন মহৎ ব্রাহ্মণ দ্রোণাচার্যকে এটিও মনে করিয়ে দিলেন যে, পাণ্ডবদের, বিশেষ করে অর্জুনের। বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তিনি যেন কোন রকম কোমলতা প্রদর্শন না করেন, কারণ তাঁরাও সকলে তার প্রিয় শিষ্য, বিশেষত অর্জুন ছিলেন সবচেয়ে প্রিয় ও মেধাবী। দুর্যোধন সতর্ক করে দিতে চেয়েছিলেন যে, এই ধরনের কোমলতা প্রকাশ পেলে যুদ্ধে অবধারিতভাবে পরাজয় হবে।

শ্লোক ৪-৬

 অত্র শূরা মহেষাসা ভীমার্জুনসমা যুধি ।। যুযুধামনা বিরাটশ্চ দ্রুপদশ্চ মহারথঃ ॥৪॥ ধৃষ্টকেতুশ্চেকিতানঃ কাশিরাজশ্চ বীর্যবান্ । পুরুজিৎ কুন্তিভোেজশ্চ শৈব্যশ্চ নরপুঙ্গবঃ ॥ ৫॥ যুধামন্যুশ্চ বিক্রান্ত উত্তমৌজাশ্চ বীর্যবান্ ।
সৌভদ্রো দ্রৌপদেয়াশ্চ সর্ব এব মহারথাঃ ॥ ৬ ॥ 

অত্র—এখানে; শুরবীরগণ; মহেষাসাঃ বলবান ধনুর্ধরগণ; ভীমার্জুন—ভীম ও অর্জুন; সমাঃ—সমকক্ষ যুধিযুদ্ধে; যুযুধানঃ—যুযুধান; বিরাটঃ—বিরাট; চ—ও; দ্রুপদঃ—দ্রুপদ; চ—ও; মহারথঃ-মহারথী; ধৃষ্টকেতুঃ-ধৃষ্টকেতু; চেকিতানঃচেকিতান; কাশিরাজঃকাশিরাজ; চ—ও; বীর্যবান্“অত্যন্ত বলবান; পুরুজিৎপুরুজিৎ; কুন্তিভােজ-কুন্তিভােজ; চ—এবং; শৈব্যঃ—শৈব্য; চ—ও; নরপুঙ্গবঃ —মানব-সমাজে শ্রেষ্ঠ; যুধামন্যুঃ-যুধামন; চ—এবং; বিক্রান্তঃবলবান; উত্তমৌজাঃ—উত্তমৌজা, চ—এবং বীর্যবান—অত্যন্ত শক্তিশালী: সৌভদ্রঃসুভদ্রার পুত্র; দ্রৌপদেয়াঃ—দ্রৌপদীর পুত্রেরা; চ—এবং; সর্বে—সকলে; এব— অবশ্যই; মহারথাঃ-মহারথীগণ।

গীতার গান 

এইস্থানে বর্তমান বহু যােদ্ধাগণ । ভীমার্জুনসম তারা ধনুর্ধারী হন ॥ যুযুধান বিরাট দ্রুপদ মহারথী সব । ধৃষ্টকেতু চেকিতান কাশীর পুঙ্গব । পুরুজিৎ কুন্তিভােজ শৈব্যরাজাগণ। যুধামন্য বিক্রান্ত নহে সাধারণ ॥ বীর্যবান যে এই সৌভদ্র দ্রৌপদেয় । সকলেই মহারথী কেহ নহে হেয় ॥

অনুবাদ সেই সমস্ত সেনাদের মধ্যে অনেকে ভীম ও অর্জুনের মতাে বীর ধনুর্ধারী রয়েছে এবং যুযুধান, বিরাট ও দ্রুপদের মতাে মহাযােদ্ধা রয়েছেন। সেখানে ধৃষ্টকেতু, চেকিতান, কাশিরাজ, পুরুজিৎ, কুন্তিভােজ ও শৈব্যের মতাে অত্যন্ত বলবান যােদ্ধারাও রয়েছেন। সেখানে রয়েছেন অত্যন্ত বলবান যুধামন্যু, প্রবল পরাক্রমশালী উত্তমৌজা, সুভদ্রার পুত্র এবং দ্রৌপদীর পুত্রগণ। এই সব যােদ্ধারা সকলেই এক-একজন মহারথী।

 তাৎপর্য


যদিও দ্রোণাচার্যের অসীম শৌর্য, বীর্য ও সামরিক কলা-কৌশলের কাছে ধৃষ্টদ্যুম্ন ছিলেন এক অতি নগণ্য প্রতিবন্ধক এবং তার ভয়ে ভীত হবার কোন কারণই ছিল

দ্রোণাচার্যের পক্ষে, কিন্তু ধৃষ্টদ্যুম্ন ছাড়াও পাণ্ডবপক্ষে অন্য অনেক রথী-মহারথী ছিলেন, যারা সত্যিসত্যিই ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। দুর্যোধনের পক্ষে সেই যুদ্ধজয়ের পথে তারা ছিলেন এক-একটি দুরতিক্রম্য প্রতিবন্ধন্ত্রে মতে, কারণ তারা সকলেই ছিলেন ভীম ও অর্জুনের মতাে ভয়ংকর। তাদের বীরত্বের কথা দুর্যোধন ভালভাবেই জানতেন, তাই তিনি অন্যান্য রথী-মহারথীদেরও ভীম ও অর্জুনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

শ্লোক ৭ 

অস্মাকন্তু বিশিষ্টা যে তান্নিবােধ দ্বিজোত্তম। মৃত্যু
নায়কা মম সৈন্যস্য সংজ্ঞার্থং তান্ ব্রবীমি তে ॥ ৭ ॥ 

অস্মাক—আমাদের; তু—কিন্তু; বিশিষ্টাঃ—বিশেষভাবে শক্তিমান; যে—যাঁরা; তান্ত দের; নিবােধ—জেনে রাখুন; দ্বিজোত্তম—দ্বিজশ্রেষ্ঠ; নায়কাঃসেনানায়কগণ; মম—আমার; সৈন্যস্য—সৈন্যদের; সংজ্ঞার্থ—অবগতির জন্য; তা—তাদের; ব্রবীমি—আমি বলছি; তে—আপনাকে।

গীতার গান

আমাদের মধ্যে যারা বিশিষ্ট মহান । দ্বিজোত্তম শুন তাহা করিয়া মনন ॥ সেনাপতি যে যে সব মম সৈন্যপাশে। সংজ্ঞার্থে তােমারে কহি অশেষ বিশেষে ॥

অনুবাদ

 হে দ্বিজোত্তম! আমাদের পক্ষে যে সমস্ত বিশিষ্ট সেনাপতি সামরিক শক্তি পরিচালনার জন্য রয়েছেন, আপনার অবগতির জন্য আমি তাদের সম্বন্ধে বলছি।

শ্লোক ৮ 

ভবান্ ভীষ্মশ্চ কর্ণশ্চ কৃপশ্চ সমিতিঞ্জয়ঃ ।

অশ্বত্থামা বিকর্ণশ্চ সৌমদত্তিস্তথৈব চ ॥ ৮ ॥

 ভবান্—আপনি স্বয়ং; ভীষ্মঃ—পিতামহ ভীষ্ম; চ—ও; কর্ণঃ কুন্তীপুত্র কর্ণ, চ—এবং; কৃপকৃপাচার্য; চ—এবং; সমিতিঞ্জয়ঃ—সর্বদা সংগ্রামে বিজয়ী; অশ্বত্থামা—দ্রোণাচার্যের পুত্র অশ্বত্থামা; বিকর্ণঃ—দুর্যোধনের ভ্রাতা বিকর্ণ; চ—ও; সৌমদত্তিঃ—সােমদত্তের পুত্র ভূরিশ্ৰবা; তথা—এবং; এব—অবশ্যই চও।

গীতার গান

আপনি আর পিতামহ ভীষ্মদিগণ । কৃপাচার্য রণজয়ী হয় একত্রে বর্ণন ॥ অশ্বত্থামা বিকর্ণাদি সৌমদত্তি আর । যথাযথা তথা তথা সৈন্য সে অপার ॥

অনুবাদ 

সেখানে রয়েছেন আপনার মতােই ব্যক্তিত্বশালী—ভীষ্ম, কর্ণ, কৃপা, অশ্বত্থামা, বিকর্ণ ও সােমদত্তের পুত্র ভূরিশ্ৰবা, যাঁরা সর্বদা সংগ্রামে বিজয়ী হয়ে থাকেন।

তাৎপর্য 

পাণ্ডব-পক্ষের রথী-মহারথীদের বর্ণনা করবার পর দুর্যোধন তার স্বপক্ষে যে সমস্ত বীরেরা যােগদান করেছেন তাঁদের বর্ণনা করেছে। বিকর্ণ হচ্ছেন দুর্যোধনের ভাই, অশ্বত্থামা হচ্ছেন দ্রোণাচার্যের পুত্র এবং সৌমদত্তি বা ভূরিশ্রবা হচ্ছেন বাহুকের রাজার ছেলে। কর্ণ ছিলেন অর্জুনের বৈপিত্রেয় ভ্রাতা, কেন না রাজা পাণ্ডুর সঙ্গে বিবাহ হবার আগে কুন্তীদেবীর কোলে তাঁর জন্ম হয়। কৃপাচার্যের যমজ ভগ্নীদ্বয়ের সাথে দ্রোণাচার্যের বিবাহ হয়।

শ্লোক ৯ 

অন্যে চ বহবঃ শূরা মদর্থে ত্যক্তজীবিতাঃ ।

নানাশস্ত্রপ্রহরণাঃ সর্বে যুদ্ধবিশারদাঃ ॥ ৯।।

 অন্যে—অন্য অনেকে; চ—ও; বহবঃবহু শূরাঃ—সেনানায়কগণ; মদর্থে—আমার জন্য; ত্যক্তজীবিতাঃ—তাদের জীবন ত্যাগ করতে প্রস্তুত; নানা-নানা প্রকার; শস্ত্র—অস্ত্রশস্ত্র প্রহরণাঃসুসজ্জিত; সর্বে—তাঁরা সকলে; যুদ্ধবিশারদাঃ—সামরিক বিজ্ঞানে অভিজ্ঞ যােদ্ধা।

গীতার গান

 আর যে অনেক বীর আমার লাগিয়া । আসিয়াছে হেথা সব জীবন ত্যজিয়া ॥ নানা-অস্ত্রপাণি সব যুদ্ধে বিশারদ। এরা সব হয় মাের যুদ্ধের সংসদ ॥

অনুবাদ 

এ ছাড়া আরও বহু সেনানায়ক রয়েছেন, যারা আমার জন্য তাঁদের জীবন ত্যাগ করতে প্রস্তুত। তারা সকলেই নানা প্রকার অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এবং তারা সকলেই সামরিক বিজ্ঞানে বিশারদ।

তাৎপর্য 

অন্য আর যে সমস্ত বীরেরা দুর্যোধনের পক্ষে ছিলেন, যেমন—জয়দ্ৰথ, কৃতবর্মা, শল্য আদি, এঁরা সকলেই দুর্যোধনের জন্য প্রাণ পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত ছিলেন। এখানে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, পাপিষ্ঠ দুর্যোধনের পক্ষ অবলম্বন করার ফলে কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে এঁদের সকলেরই মৃত্যু অবধারিত ছিল। দুর্যোধনের কিন্তু দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, এই সমস্ত বীরপুঙ্গবেরা স্বপক্ষে থাকায় তার জয় অনিবার্য।

শ্লোক ১০-১১ 

অপর্যাপ্তং তদস্মাকং বলং ভীষ্মভিরক্ষিতম্ । 

পর্যাপ্তং ত্বিদমেতেষাং বলং ভীমাভিরক্ষিতম্ ॥ ১০॥ 

অয়নেষু চ সর্বেষু যথাভাগমবস্থিতাঃ । 

ভীষ্মমেবাভিরক্ষন্তু ভবন্তঃ সর্ব এব হি ॥ ১১ ॥

অপর্যাপ্ত-অপরিমিত; তৎ—তা; অস্মাক—আমাদের; বলম্ব ল; ভীষ্ম— পিতামহ ভীষ্মের দ্বারা; অভিরক্ষিত—সম্পূর্ণরূপে রক্ষিত; পর্যাপ্তম-সীমিত; তু— কিন্তু; ইদ—এই সমস্ত; এতে —পাণ্ডবদের, বলম্ব ল; ভীম—ভীমের দ্বারা; অভিরক্ষিত সতর্কভাবে রক্ষিত; অয়নেযু—যথাস্থানে; চ—ও; সর্বেষু—সর্বত্র; যথাভাগ—যথাযথভাবে বিভক্ত হয়ে অবস্থিতাঃ—অবস্থিত; ভীষ্ম—পিতামহ ভীষ্মকে; এব—অবশ্যই; অভিরক্ষন্তু রক্ষা করুন; ভবন্তঃ—আপনারা; সর্বে সকলে; এব হিনিশ্চিতভাবে।

গীতার গান 

অপর্যাপ্ত মম সৈন্য ভীষ্ম সেনাপতি। পর্যাপ্ত ওদের সৈন্য ভীম যার গতি ॥ যথাস্থানে স্থিত থাকি আপনি সকলে। রক্ষ ভীষ্ম পিতামহে হেন যুদ্ধস্থলে ॥

অনুবাদ 

আমাদের সৈন্যবল অপরিমিত এবং আমরা পিতামহ ভীষ্মের দ্বারা পূর্ণরূপে সুরক্ষিত, কিন্তু ভীমের দ্বারা সতর্কভাবে সুরক্ষিত পাণ্ডবদের শক্তি সীমিত। এখন আপনারা সকলে সেনাবহের প্রবেশপথে নিজ নিজ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থিত হয়ে পিতামহ ভীষ্মকে সর্বতােভাবে সাহায্য প্রদান করুন।

তাৎপর্য

 এখানে দুর্যোধন পাণ্ডব-পক্ষ ও কৌরব-পক্ষের সামরিক শক্তির তুলনা করেছে। পিতামহ বীরশ্রেষ্ঠ ভীষ্মদেবের রক্ষণাবেক্ষণাধীন অমিত শক্তিশালী এক সৈন্যবাহিনী ছিল দুর্যোধনের স্বপক্ষে। অপর পক্ষে, পাণ্ডবদের সৈন্যবাহিনী ছিল সীমিত এবং তার সেনাপতি ছিলেন ভীমসেন, যাঁর শৌর্যবীর্য ও সৈন্য পরিচালনার ক্ষমতা | পিতামহ ভীষ্মদেবের তুলনায় ছিল নিতান্তই নগণ্য। দুর্যোধন চিরকালই ভীমের প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিল। কারণ সে জানত যে, যদি তাকে কোন দিন মরতে হয়, তবে ভীমের হাতেই তার মৃত্যু হবে। কিন্তু ভীষ্মের মতাে বিচক্ষণ ও দুর্ধর্ষ যােদ্ধা তার পক্ষের সেনাপতি থাকায় সে নিশ্চিতভাবে ধরে নিয়েছিল, জয় তার হবেই। দুর্যোধনের প্রতিটি কথাতে বােঝা যাচ্ছে, যুদ্ধজয় সম্বন্ধে তার মনে কোনই সংশয় ছিল না।

ভীষ্মের শৌর্যবীর্যের প্রশংসা করার পরে, দুর্যোধন বিবেচনা করে দেখল, অন্যেরা মনে করতে পারে, তাদের শৌর্যবীর্যের গুরুত্ব লাঘব করে হেয় করা হচ্ছে, তাই তার স্বভাবসুলভ কূটনৈতিক চাতুরীর সাহায্যে সেই পরিস্থিতির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সে উপরােক্ত কথাগুলি বলেছিল। এভাবে সে মনে করিয়ে দিল যে, ভীষ্মদেব যত বড় যােদ্ধাই হন, তিনি বৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন এবং সব দিক থেকে তাই ভীষ্মদেবকে তাদের সকলেরই রক্ষা করা উচিত। যুদ্ধ করতে করতে যদি তিনি কোনও একদিকে এগিয়ে যান, তা হলে শত্রুপক্ষ তার সুযােগ নিয়ে অন্য দিক থেকে আক্রমণ করতে পারে। তাই অন্য বীরপুঙ্গরাে যাতে নিজ নিজ স্থানে অধিষ্ঠিত থেকে শত্রুসৈন্যকে ব্যুহ ভেদ করতে না দেয়, তার গুরুত্ব সম্বন্ধে দ্রোণাচার্যকে দুর্যোধন মনে করিয়ে দিয়েছিল। দুর্যোধন স্পষ্টই অনুভব করেছিল

যে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তার জয়লাভ সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে ভীষ্মদেবের উপর। | দুর্যোধনের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, সেই যুদ্ধে ভীষ্মদেব ও দ্রোণাচার্য তাঁকে সম্পূর্ণভাবে

সহযােগিতা করবেন। কারণ সে আগেই দেখেছিল, যখন হস্তিনাপুরের রাজসভায় সমস্ত রাজপুরুষের সামনে দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণ করা হচ্ছিল, তখন তাদের প্রতি অসহায় দ্রৌপদীর আকুল আবেদনে সাড়া দিয়ে তারা একটি কথাও বলেননি। যদিও দুর্যোধন জানত, তার দুই সেনাপতিই পাণ্ডবদের বেশ স্নেহ করতেন, কিন্তু

তার বিশ্বাস ছিল যে, পাশা খেলার নিয়মানুসারে তারা যেমন তাদের স্নেহপ্রবণতা | বর্জন করেছিলেন, এই যুদ্ধেও তারা তাই করবেন।

এটি ইমেল করুনএটি ব্লগ করুন!X-এ শেয়ার করুনFacebook-এ শেয়ার করুনPinterest এ শেয়ার করুন
  • Share This:  
  •  Facebook
  •  Twitter
  •  Google+
  •  Stumble
  •  Digg
হোম
Related Posts Widget

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

হোম
এতে সদস্যতা: মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
  • Popular Post
  • Video
  • Category

Popular Posts

Video Of Day

Popular Posts

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

  • ▼  2019 (1)
    • ▼  মার্চ (1)
      • প্রথম অধ্যায় বিষাদ-যােগ শ্লোক ১-১১

অনুসরণকারী

Top Sites

  • popcornradio.com
  • Pidza
  • weechi.com
  • gmdm.rocks
  • xmlbloggertemplates.com

Book Today!

+1800-222-3333

sales@myhotelz.com
Copyright © Divine Talk Bangla | Powered by Blogger Design by XML Blogger Templates | Blogger Theme by PIDZA Digital | GMDM LLC
Blogger দ্বারা পরিচালিত.